গল্প দেখার চিহ্ন
আমাদের জীবন যখন গল্প, আর আমরা সবাই ‘গল্পপোষ্য জীব’, তখন বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম প্রধানস্থপতি মামুন হুসাইন চারপাশে খুঁজতে শুরু করেন ‘গল্পদেখার চিহ্ন’। গল্প-উপন্যাসের বাইরে এই গল্প দেখার চোখ দিয়ে আমরা আমাদের ভয়, আকাক্সখা, উদ্বেগ ও স্বস্তি খোঁজার নতুন উপায় খুঁজে পাই। ব্যক্তিগত গদ্য অথবা বেললেট্র নামক এই রচনাপঞ্জীতে ছড়িয়ে থাকে জগত সংসারের বিবিধ চিহ্ন, খোলনলচে এবং দূরাগত নক্ষত্রের উজ্জ্বল আভাষ!
গল্প দেখার ছলে তখন আবিষ্কৃত হয় জীবন-যাপনের নানান রহস্য, মায়া, ক্ষয়, বিষণ্যতা, আঁধার এবং তীব্র এক ছায়া-আলোর প্রক্ষেপণ। এই ছায়া-আলো পথ ধরে ব্যক্তিজগতে প্রবেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় আবিষ্কৃত হলেও অচিরেই এখানে ব্যক্তি মানুষের দ্রোহ ও যাতনা হয়ে যায় আমাদের সামষ্টিক অনুধ্যানের নমুনা, আমাদের সামষ্টিক অবলোকনের চিহ্ন এবং বেঁচে থাকার অকথিত দ্যোতক। ‘কথা ইশারা’র মত এই গ্রন্থটিও তাই হয়ে ওঠে আমাদের বিবিধ সময় বর্ণনার এক উজ্জ্বল সঙ্গীতময় গদ্যপ্রতিভা, এক সংসিদ্ধ সংবেদ।
Reviews
There are no reviews yet.